চার্জশিটে একমাত্র আসামিকে বাদ দিয়ে অন্যজনের নাম

শিশু ধর্ষণ মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২১ অক্টোবর, ২০২০ at ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে পাঁচ মাস আগে আকবর শাহ এলাকায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় এজাহারনামীয় একমাত্র আসামিকে বাদ দিয়ে অন্যজনের নাম দিয়ে সম্প্রতি চার্জশিট দেয়া হয়েছে। চার্জশিটে যার নাম দেয়া হয়েছে, সেই হল বন্দুকযুদ্ধে নিহত ধর্ষক বেলাল হোসেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত বেলাল বিভিন্ন সময় শিশুদের সিএনজিতে তুলে গিয়ে ধর্ষণ করে বেড়াত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই চার্জশিট জমা দেয়ার বিশদিন পর গত সোমবার মহানগর হাকিম মো. শফি উদ্দিনের আদালতে সেই তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আদালত তা খারিজ করে দেন।
গতকাল বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জিয়া হাবীব আহসান এই বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে অভিযোগটি দাখিল করেছিলেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা ও মামলার বাদী সাজু মিয়া। অবশ্য পরদিন মঙ্গলবার আদালতে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, আকবর শাহ এলাকায় এক বৃদ্ধ ৬ বছরের এক শিশুকে চকলেট, বিস্কুট ও চিপস দিয়ে ফুসলিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় তখনই আসামিকে শনাক্ত করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়। এমামলার আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারনামীয় আসামিকে বাদ দিয়ে আরেক মামলার আসামিকে এই মামলায় জড়িয়ে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী চার্জশিট জমা দেয়ার আগে পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত নিতে হয়। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা এক্ষেত্রে পাবলিক প্রসিকিউটরের কোনো মতামত নেননি।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৪ মে আকবর শাহ থানাধীন বেলতলীঘোনা এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে খেলতে গিয়ে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় আকবর শাহ রেলওয়ে হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা নির্মল চন্দ্র আইস নামে ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা রিকশা চালক সাজু মিয়া।
মামলার এজাহারে সাজু মিয়া উল্লেখ করেন, আসামি নির্মল চন্দ্র আইস ভিকটিমকে নাতিন হিসেবে সম্বোধন করে বিভিন্ন সময় তাদের বাসায় যেতেন। গত ৪ মে বিকেলে খেলার মাঠ থেকে বাসায় ফেরার পর তার মেয়েকে কান্নকাটি করতে দেখেন। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনের সামনে আসামিকে শনাক্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র শীল গতকাল আজাদীকে বলেন, শিশুটি ধর্ষণের ঘটনায় যখন এজাহারনামীয় একজনকে আসামি করে অভিযোগ করা হয় তখন বাদীপক্ষের কথামতো আমরা ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাতে বাধ্য হই। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তে এ ধর্ষণের সাথে ওই আসামির কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরে নকল জর্দা তৈরির কারখানা
পরবর্তী নিবন্ধদাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট