চারবার আইসিসির মাস সেরা হয়ে গিলের রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ১৩ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

শুবমান গিলের অর্জনের মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরেকটি পালক। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে রানের স্রোত বইয়ে দিয়ে আইসিসির জুলাই মাস সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সঙ্গে গড়েছেন প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে চারবার ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্যা মান্থ’ হওয়ার কীর্তি। গত মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম গতকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। নারীদের মধ্যে সেরার সম্মাননা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের সোফি ডাঙ্কলি। পুরুষ বিভাগে আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে শুবমান গিল হারিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ও দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডারকে। আর নারী বিভাগে ডাঙ্কলি টপকে গেছেন স্বদেশি সোফি এক্লেস্টোন ও আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইসকে। ইংল্যান্ডে স্বপ্নের মতো এক সিরিজ কেটেছে গিলের। অনেক রেকর্ড ও কীর্তি গড়ার সিরিজে পাঁচ টেস্টে ৭৫৪ রান করেন তিনি। যেখানে গত মাসে তিন ম্যাচ খেলে ৯৪.৫০ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬৭ রান। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করেন গিল। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৩১ রান। তার ওই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজে ১১ সমতা ফেরায় ভারত। পরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ২২ সমতায় সিরিজ শেষ করে গিলের দল। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সিরিজে ব্যাট হাতে এবং নেতৃত্বে উজ্জ্বল ছিলেন গিল। এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু হয় গিলের। চতুর্থবারের মত মাস সেরা খেলোয়াড় হতে পেয়ে উচ্ছসিত গিল বলেন, জুলাই মাসের আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ নির্বাচিত হতে পেরে আমি ভাল অনুভব করছি। এবার এই মাস সেরা অ্যাওয়ার্ডের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে ভাল পারফরমেন্সের কারণেই এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। তিনি আরও বলেন বার্মিংহামের ডাবলসেঞ্চুরি আমি চিরকাল মনে রাখব এবং ইংল্যান্ড সফরে ঐ ইনিংসটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারি এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারী ও সেপ্টেম্বর মাসে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন গিল। নারী বিভাগে ডাঙ্কলি মাস সেরা হন ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সাদা বলের সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। গত মাসে এশিয়ার দলটির সঙ্গে খেলা ইংল্যান্ডের সাত ম্যাচের সবকটিতেই প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। চার টিটোয়েন্টিতে ১৩৪.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪৪ রান করেন টপ অর্ডার এই ব্যাটার। পরে তিন ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে আসে ১২৬ রান। দুটি সিরিজেই অবশ্য ভারতের বিপক্ষে হেরে যায় ইংল্যান্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধসিলেটে সাদা পাথর লুট বন্ধে সরব ক্রিকেটার রুবেল হোসেন