জালিয়াতির মাধ্যমে নকশাবর্হিভূত প্লট সৃষ্টি এবং মিথ্যা লে আউট করে তা পরে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলায় চট্টগ্রামের চার সাংবাদিক নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো–অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব উল আলম, সাবেক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক কোষাধ্যক্ষ শহীদ উল আলম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, তার স্ত্রী তপতী দাশ, শহীদ উল আলমের স্ত্রী তসলিমা খানম ও নিজাম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা। দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বলেন, দুদক মামলা করেছিল ৯ জনের বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে একজনকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু আদালত ৯ জনের বিরুদ্ধেই কগনিজেন্স নেয়। পরে ২ জনকে ডিসচার্জ দিয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন গঠন করা হয়েছে। ওই দুজন হলেন, প্লট ক্রেতা মো. সেলিম ও হুমায়েরা ওয়াদুদ।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুসন্ধান ও তদন্ত–৫ এর উপ–পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। পরদিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বাদি দুদকের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ তখন বলেছিলেন, পারস্পরিক যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে নকশাবর্হিভূত প্লট সৃষ্টি এবং মিথ্যা লে আউট করে তা পরে বরাদ্দ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মামলায় মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য বরাদ্দ জমিতে প্লট সৃষ্টি করে স্ত্রীদের নামে বরাদ্দ, মিথ্যা নকশা প্রণয়ন, প্লট হস্তান্তর ফি সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো–অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির বরাবরে নগরীর বায়েজিদ থানার শেরশাহ এলাকায় সরকারি বরাদ্দকৃত জমিতে এই প্লট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।