চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে ১১ হাজার ৯৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যা ওই সময়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেশি। মূলত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৬৬৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চার মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে তিন হাজার ৭৬৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং দেশি–বিদেশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৮ হাজার ১৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে অর্থসরবরাহ নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য কমপক্ষে ২ শতাংশ কৃষি ঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে। যেসব ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ করবে না, তাদের জরিমানার ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে প্রতিবছরই সাধারণ ঋণ বিতরণের পাশাপাশি বাড়ছে কৃষি ঋণ বিতরণ। এ জন্য বছরের শুরুতে লক্ষ্যও ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বছরের বারো মাস বিশেষ করে ফসল চাষের শুরুতে কৃষকরা সময় মতো ঋণ পান। খবর বাংলানিউজের।
চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ১৪ বছরে আগে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে। ১৪ বছরে কৃষি ঋণ বিতরণ তিনগুণ ছাড়িয়ে গেছে।
কৃষি ঋণ বিতরণে পরিমাণের পাশাপাশি মানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে সব ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ করে সে জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে নিজস্ব শাখা নেই, সেসব ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার বা এনজিও মাধ্যমে বিতরণ করে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এমআরএ) নিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুদ নির্ধারণেও এমআরএ নির্ধারিত সুদ হারের যাতে বেশি সুদ না নিতে পারে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
কৃষি ঋণ বিতরণের পাশাপাশি কৃষকের ফেরত দেওয়া ঋণের হার সন্তোষজনক। আবার কৃষি ঋণে খেলাপি কৃষকের হারও তুলনামূলক কম। তথ্য বলছে, কৃষি ঋণে খেলাপির হারও ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। অক্টোবর শেষে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ (আউটস্ট্যান্ডিং) ৫৪ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা।