সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় টোল আদায় করা হয় এমন মহাসড়কের সংখ্যা চারটি, যেখান থেকে বিদায়ী অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে টোল আদায় হয়েছে ১৮৪ কোটি ৩৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। কুমিল্লা–৮ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। খবর বিডিনিউজের।
ওবায়দুল কাদেরের তথ্য অনুযায়ী, চার মহাসড়কের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টোল আদায় হয়েছে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে (ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গা অংশ), যার পরিমাণ ১৫৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এরপর ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের রুস্তমপুর টোল প্লাজায় ১৫ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার, নাটোরের হাটিকুমরুল–বনপাড়া সড়কে ১১ কোটি ৪৫ হাজার এবং চট্টগ্রামের পোর্ট এক্সেস রোডে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।
নোয়াখালী–৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতু বিভাগের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় তিনটি সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়। সেতু তিনটি হল যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু, ধলেশ্বরী নদীর ওপর মুক্তারপুর সেতু এবং পদ্মা সেতু। চলতি অর্থবছরের ১৯ জুন পর্যন্ত এ তিন সেতু থেকে ১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। মামুনুর রশীদের আরেক প্রশ্নে সড়ক মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তায় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪ হাজার ৯৮০ কোটি ১৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা, এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৩ হাজার ৭৫৯ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার টাকা।