মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৪ পুলিশসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তিনি মামলাটি করেন। কামরুল আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। বাদীর আইনজীবী জুয়েল দাশ আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত আমার মক্কেলের মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, বন্দর থানার সাবেক ওসি ও বর্তমানে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত পরিদর্শক মহিউদ্দিন মাহমুদ, বন্দর বিভাগের সাবেক এসআই ও বর্তমানে আকবরশাহ থানায় কর্মরত রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া, বন্দর বিভাগের সাবেক এএসআই ও বর্তমান সিলেট এপিবিএনে কর্মরত কেএম জান্নাত সজল, নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক এসআই ও বর্তমানে সিলেটে কর্মরত মঙ্গল বিকাশ চাকমা, বন্দর থানা এলাকার ইসহাক ডিপোতে কর্মরত জামাল ফরাজী ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিলন ফরাজী।
আদালতসূত্র জানায়, আসামি জামাল ফরাজীর পরিচালনাধীন দিশা ফাউন্ডেশন নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখেন বাদী কামরুল। সেখান থেকে আট লাখ টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। সর্বশেষ বন্দর থানার একটি চুরির মামলায় ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে পুরো শহর ঘোরানো হয়। এক পর্যায়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় মারধর করে এক পর্যায়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পাঁচদিন থেকে মুক্তি পান। এছাড়া চুরির মামলায় আনিত অভিযোগ বিষয়ে সত্যতা না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলেও মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন বাদী কামরুল ইসলাম।