উখিয়ায় ও নাইক্ষ্যংছড়ি অভিযান চালিয়ে চার কোটি ৭৪ লাখ টাকার ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি-পুলিশ। গত শনিবার ও গতকাল রোববার পৃথক এ অভিযান চালানো হয়। এসময় দুই রোহিঙ্গাসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে গতকাল রোববার দুপুরে উখিয়ার রেজুখাল চেকপোস্টে কক্সবাজার মুখি একটি হিউম্যান হলারে তল্লাশি চালায় বিজিবি। এসময় সাথে ছিল বিজিবির ডগ স্কোয়াডের ৩টি কুকুর। তল্লাশির সময় ফিডো নামে একটি কুকুর গন্ধ শুঁকে একটি ইয়াবার থলে শনাক্ত করে। পর সেখানে পাওয়া যায় ৯৫০ পিস ইয়াবা। এগুলো মূলত সুপারির ভেতরে রাখা ছিল। কাঁচা সুপারি কেটে অভিনব কৌশলে গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে পাচার করা হচ্ছিল। এসময় হাতেনাতে মোস্তফা খাতুন নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে গত শনিবার রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতের বিল থেকে দেড় লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি। যার আনুমানিক মূল্য চার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের বালুখালী বিওপির একটি দল ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পালংখালী নাফ নদীর সীমান্ত সংলগ্ন থাইংখালী রহমতের বিল নামক স্থানে অবস্থান নেয় বিজিবি সদস্যরা। একপর্যায়ে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫/৬ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় চোরাকারবারিরা তাদের সাথে থাকা বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল ফেলে যাওয়া বস্তা তল্লাশি করে দেড় লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের মুরাদ রাবার বাগান থেকে প্রায় ৫ হাজার ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো জমির হোসেনের ছেলে মো. ইলিয়াস (২০) ও মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মো. সলিম (৪২)। উভয়ই থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থী।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি তদন্ত বিল্লাল হোসেন বলেন, উদ্ধার ইয়াবার মূল্য ১৪ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে।