বাঁশখালীর চাম্বলের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দপ্তরের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের আগে চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর সাথে বাঁশখালী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) সভাপতি শেখর দত্তকে একসাথে দুদক অফিসে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
অথচ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সহযোগী সংস্থার গঠনতন্ত্র ও কার্য-নির্দেশিকা ২০১০ (২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত)এর ১৫ কমিটির বর্জনীয় বিষয়সমূহের ১৫ (ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করা হতে বিরত থাকবেন।” এব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা দুপ্রকের সভাপতি শেখর দত্ত রোববার সন্ধ্যায় দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কাজে সিজিএ বিল্ডিং-২ এ ট্যাঙ অফিসে (আয়কর বিভাগে) গিয়েছিলাম। ট্যাঙ অফিসে যাওয়ার সময় সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের সাথে দেখা হয়। ট্যাঙ অফিসের কাজ শেষে লিফটে উঠলে চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর সাথে দেখা হয়। দুদক অফিসের ৯ তলায় অপেক্ষমান থাকার পর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের সাথে সাক্ষাতের জন্য যাওয়ার সময় মুজিবুল হকের সাথে একত্রে ১০তলায় উঠেছি।’ বিষয়টি তিনি কাকতালীয় দাবি করে বলেন, ‘কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে তাঁর সাথে যাওয়া যায় না। আমিও তাঁর সাথে আসিনি।’
তবে প্রত্যক্ষদর্শী দুদকের এক কর্মচারী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুজিবুল হক চৌধুরী ও শেখর দত্ত দুদক কার্যালয়ের ৯ তলায় অপেক্ষমান ছিলেন। যখন মুজিবুল হক চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় তখন শেখর দত্তও একসাথে ১০ তলায় যান। এসময় মুজিবুল হক চৌধুরী ৯তলার রেজিস্ট্রারে নাম রেকর্ড করলেও শেখর দত্তসহ সাথের আরেকজন রেজিস্ট্রারে নাম রেকর্ড করেননি। সবই ৯ তলার সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে।’
প্রসঙ্গত, বাঁশখালীর ১০নং চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হলেন- দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ।