বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের শরিক জোট থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চাচার পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারেন তার ভাতিজা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। নজিবুল বশরের পাশাপাশি নতুন নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীনও একই আসনে এবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট থেকে চাচা–ভাতিজা দুজনের একজনকে এই আসন থেকে সমর্থন জানানো হতে পারে। যদিও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তিনি ২০১৪ সালেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে জোটের কারণে তাকে সরে দাঁড়াতে হয়। এবার কী হয় তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, রাজনৈতিক সুষ্ঠু ধারা ফিরিয়ে আনা, অবহেলিত ফটিকছড়ির শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পর্যটনসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করার জন্য এবারও নির্বাচন করব। ফটিকছড়িবাসী চায় আমি নির্বাচন করি।
চাচা নজিবুল বশরের মনোনয়ন নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হয়নি। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায়।
মাইজভান্ডার শরিফের কারণে দেশব্যাপী ফটিকছড়ি উপজেলার আলাদা পরিচিতি রয়েছে। তরিকত ফেডারেশন ও সুপ্রিম পার্টির প্রধান দুজনই সুন্নি মতাদর্শী তরিকার পরিচিত মুখ। সারা দেশের মতো ফটিকছড়িতেও তাদের ভক্ত ও মুরিদ রয়েছেন। চাচা–ভাতিজা একই আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ ভোটারের পাশাপাশি ভক্ত–মুরিদেরা।
ভাতিজার প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, নির্বাচনে যে কেউ দাঁড়াতে পারেন। এটি তার অধিকার। অনেকেই অনেক কিছু বলছেন, অনেকে ষড়যন্ত্র করছেন। সেদিকে নজর দেয়ার সুযোগ নেই। ফটিকছড়ির উন্নয়নে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। তাই জনগণ এবারও আমাকে বেছে নেবেন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেন, দীর্ঘদিন ফটিকছড়িবাসীর দাবি দলীয় প্রার্থীর। দলের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেব।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন হোসাইন মো. আবু তৈয়ব। নির্বাচন করার জন্য তিনি সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এবার ফটিকছড়ি আসন থেকে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেন। তবে যাচাই বাছাই শেষে মো. শাহজাহান, মো. নওশের ও মো. রিয়াজের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।