এবার চাকুরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে গতকাল বিকেলে টাইগারপাস চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে চসিক প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে ১৩ দফা দাবি রয়েছে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা দাবি করেন, তাদের নিয়োগ হয়েছে বিধি মোতাবেক। নিয়োগের পর থেকে তারা (২৩৬ জন শিক্ষক) নির্ধারিত বেতনে (সর্ব–সাকুল্যে ১৭ হাজার ৫১০ টাকা) কর্মরত আছেন। স্বল্প বেতনের উপর তাদের পরিবার–পরিজন নির্ভরশীল। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়–বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অতি সামান্য বেতনে জীবিকা নির্বাহ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষকের সরকারি বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় নতুন কোন কর্মক্ষেত্রে যোগদানেরও সুযোগ নেই।
স্মারকলিপিতে ১৯৮৪ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্মারকের মর্মমতে সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের সরকারি বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকদের ন্যায় বেতনকাঠামো ও যাবতীয় সুযোগ–সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবির প্রেক্ষিতে চসিক প্রশাসক এক সপ্তাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল অস্থায়ী শিক্ষকের সামগ্রিক বেতন বৈষম্য দূরীকরণ করে ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীতকরণের অফিস আদেশ জারি করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। একইসঙ্গে অক্টোবর মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অস্থায়ী সকল শিক্ষকের স্থায়ীকরণের জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা বেগম, চসিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আকতার হোছাইন ও সাধারণ সম্পাদক এম মাকসুদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এর আগে চাকুরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলন করেন চসিকের বিভিন্ন কলেজের অস্থায়ী প্রভাষকরা।