চাকসুর তফসিল কখন, অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা

৭-৮ দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা এবং সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের আশা কর্তৃপক্ষের

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ২০ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় দিন গুণছেন শিক্ষার্থীরা। পুরো ক্যাম্পাসে এখন আলোচনার মূল বিষয়, কবে আসবে সেই প্রত্যাশিত তফসিল? ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু, ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু এবং ১৫ সেপ্টেম্বর রাকসুর ভোটগ্রহণ হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ৭৮ দিনের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি বলেন, চাকসু শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই দ্রুত নির্বাচন আয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে। আশা করছি সেপ্টেম্বর মাসেই নির্বাচন হবে এবং পর্যাপ্ত সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ায় ছাত্র সংসদের ভবন কার্যত ক্যানটিন ও কমিউনিটি সেন্টারে পরিণত হয়েছে। এমনকি গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ভবনের নামফলকের ওপর ‘জোবরা ভাতের হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টার’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে প্রতিবাদ জানান।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে প্রায় ২৮ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা চাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শিমুল মিয়া বলেন, চাকসু হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও গণতান্ত্রিক চর্চার প্রধান ক্ষেত্র। অথচ প্রশাসন বছরের পর বছর নির্বাচন বিলম্ব করছে। এতে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে।

আরেক শিক্ষার্থী মো. আব্দুস সাদেক বলেন, ৫ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নির্বাচনী তোড়জোড় চললেও চবি প্রশাসন এখনো নীরব। যত দ্রুত সম্ভব তফসিল ঘোষণা করা উচিত।

চাকসু নির্বাচন কমিশনার রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মনির উদ্দিন আজাদীকে বলেন, এখনো ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে কয়েকটি বিভাগ তালিকা জমা দিতে দেরি করছে। কিছু বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তা সংশোধনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা কার্যালয় নির্ধারণের কাজও চলছে। এসব সমস্যা সমাধান হলে দ্রুত তফসিল ঘোষণা করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পরবর্তী নিবন্ধসড়ক ও ফুটপাতে দোকানের পণ্য রাখা যাবে না : মেয়র