করোনা মহামারিতে চাকরি হারানো দুই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নামে বাসায় আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছিল। সুযোগ বুঝে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সাহায্য চান এক তরুণী। সংবাদ পেয়ে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন একটি বাসা থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের জোরপূর্বক আটকে রেখে অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় শাহীন আক্তার (২৪) ও দেলোয়ার হোসেন (২৫) নামে দুই জনকে।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজামউদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। ওসি নেজামউদ্দীন আজাদীকে জানান, সোমবার বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ এক তরুণী ফোন করে বলেন, তাকে ও তার ফুফাত বোনকে একটি বাসায় আটকে রাখা হয়েছে। ৯৯৯ থেকে আমার নম্বরে সংযোগ দেয়ার পর তাদের সাথে কথা বলি। তবে একটি ভবনে তাদের আটকে রাখার কথা বললেও ঠিকানা বলতে পারছিল না। ওসি তাকে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যের বর্ণনা দিতে বলেন। সেই বর্ণনার সূত্র ধরে বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি টীম কল্পলোক আবাসিক এলাকার এমিরেটার্স প্যালেস ব্লক-জি, প্লট-৩১, ৫ম তলার ৪ বি-ফ্ল্যাটটি শনাক্ত করে। পরে ঐ বাসা থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার ও জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভিকটিমদের তথ্যের ভিত্তিতে ওসি জানান, তারা কর্ণফুলী ইপিজেড কেনপার্ক বাংলাদেশ এ্যাপারেলে চাকরি করত। করোনায় কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐ গার্মেন্টসের রেখা নামের একজন সহকর্মী অন্য গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার নাম করে রাকিব(২৫) নামে একজনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। রাকিবের সাথে যোগাযোগ করলে সে তার বন্ধু শওকত আলী খান ও শাহিনা আক্তারের কাছে তরুণী দুজনকে গত ৩ অক্টোবর রাতে নিয়ে যায়। সেখানে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয় মো. দেলোয়ার (২৫) ও শাহীন আকতারের (২৪) সাথে দেখা হয় তাদের। তারা দুই তরুণীকে দেহব্যবসায় বাধ্য করে। পুলিশ জানতে পারে- আসামি শওকত ও রাকিব সম্প্রতি বাসাটি ভাড়া নিয়ে অসহায় তরুণীদের কৌশলে এনে দেহব্যবসায় বাধ্য করছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।