করোনকালীন অচলাবস্থা, বেকারত্ব ও পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং উন্নত বিশ্বের নিয়ম–কানুনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির যে দাবি, তা পর্যালোচনা করে প্রধান উপদেষ্টা কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত দাবিটি পর্যালোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্ব একটি কমিটি করে দেয়, যারা তাদের মতামত তুলে ধরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই কমিটির সদস্য সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। খবর বিডিনিউজের।
কমিটির প্রধান মুয়ীদ চৌধুরী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিকে আগেই ‘যৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করে আন্দোলনকারীদের আস্থায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।’
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’। এই ব্যানারে তাদের প্রায়ই কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায়।