চাকরি দেয়ার নামে আরো ১০ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগে মামলা

বন্দরের সচিব সেজে প্রতারণা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব সেজে চাকরি দেয়ার নামে আরো দুইজন থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সেকান্দর আলীর বিরুদ্ধে নতুন করে থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এভাবে আরো টাকা নিয়েছেন কিনা তা নিয়েও অনুসন্ধান চলছে। তাকে রিমান্ডে এনে সবকিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ তাকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে।
পুলিশ জানায়, সেকান্দর আলীর গ্রেপ্তারের খবর ছবিসহ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে গত ১১ সেপ্টেম্বর আরো দুজনের কাছ থেকে একই কায়দায় দশ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়। এদের মধ্যে আব্দুল মতিন নামের একজনকে বন্দরের ডার্ক রুম সহকারী এবং মোহাম্মদ আলমগীর কবির নামের অপরজনকে নিম্নমান বহিঃসহকারী পদে চাকরি দেয়ার কথার কথা বলে উক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। গত শনিবার আব্দুল মতিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় সেকান্দর আলীর বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা করেন।
আব্দুল মতিনের অভিযোগ, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত সেকান্দর সহযোগী নুর মোহাম্মদের মাইক্রোবাস ভাড়া করে বিভিন্ন স্থানে যেতেন। এতে নুর মোহাম্মদের পাশাপাশি সেকান্দরের সাথেও তার পরিচয় হয়। সেকান্দর নিজেকে বন্দর সচিব পরিচয় দিয়ে বন্দরে চাকরি করবে কি না জানতে চায়। মতিন রাজি হলে ২০১৭ সালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে ডার্ক রুম সহকারীর একটি পদ এখনও খালি আছে বলে জানায়। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালকের ( প্রশাসন) স্বাক্ষর ও সিল সম্বলিত একটি নিয়োগপত্রও দেখায়। সেই চাকরির জন্য ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর আব্দুল মতিন প্রথমে প্রাইম ব্যাংকের দুই লাখ টাকার একটি চেক এবং পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আরও তিন লাখ টাকা নগদে সেকান্দরকে প্রদান করেন।
সেকান্দর একইভাবে আবদুল মতিনের বন্ধু আলমগীর কবিরকেও বন্দরে চাকরি দেয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আলমগীর কবিরকেও তিনি বন্দর পরিচালকের সিল-স্বাক্ষর সম্বলিত নিম্নমান বহিঃসহকারীর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখায় এবং বিশ্বাস অর্জন করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সেকান্দর আলী দু’জনকেই জানায়, ভেরিফিকেশনের জন্য তাদের স্থায়ী ঠিকানায় পুলিশ যাবে এবং বন্দরের পক্ষ থেকেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
পরবর্তীতে সেকান্দর ভুয়া লোকজন দিয়ে ভেরিফিকেশনের অভিনয় করায়। কয়েকদিন পর বন্দর থেকে ফোন করেছে জানিয়ে বিভিন্ন তথ্যও তাদের কাছে চাওয়া হয়। এতে তাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মে যে বন্দরের চাকরি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কালক্ষেপণ হওয়ায় তাদের মাঝে অস্থিরতাও দেখা দেয়। তখন সেকান্দর তাদের আশ্বস্ত করে যে, করোনার কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। চাকরি যে হবে তাতে সন্দেহ নেই।
কিন্তু পত্রিকায় সেকান্দরের ছবি দেখে দুজনই বুঝতে পারেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন। তাই আবদুল মতিন কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানান, সেকান্দরকে নতুন মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তাকে রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুলে এসে ফেরত যেতে হলো যে কারণে
পরবর্তী নিবন্ধইউনিফর্ম ও ফি আদায় নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী