সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) চন্দ্রযান ‘রশিদ’ চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরালের মহাকাশকেন্দ্র থেকে স্পেসএঙ ফ্যালকন ৯ রকেটে করে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আরব বিশ্বের প্রথম চন্দ্রযান মহাকাশে গেল। সিএনএন জানায়, আরব আমিরাতে এই রশিদ চন্দ্রযান তৈরি করেছে দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রাশিদ মহাকাশকেন্দ্র (এমবিআরসিএস)। যানটি জাপানের তৈরি মুন ল্যান্ডার হাকুতু–আর এর সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। অবতরণ সফল হলে হাকুতু–আর’ও হবে চাঁদে নিয়ন্ত্রিত অবতরণ মিশনে সক্ষম প্রথম বাণিজ্যক মহাকাশযান।
জ্বালানি কম লাগে এমন একটি রুটে অভিযানটি পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে চন্দ্রযানটি চাঁদে পৌঁছার কথা রয়েছে। রোভারটি এর মূল কাজ সম্পন্ন করতে চন্দ্রপৃষ্ঠে এক চন্দ্রদিন কাটাবে, যা পৃথিবীর ১৪.৭৫ দিনের সমান। এরপর দ্বিতীয় কাজটি সম্পন্ন করতে কাটাবে দ্বিতীয় চন্দ্রদিন। অভিযান শেষের আগে চাঁদে রাতের কঠিন পরিবেশে রোভারটি টিকতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। খবর বিডিনিউজের।
চাঁদের উত্তর–পূর্ব অংশের অ্যাটলাস গর্তে অবতরণ করবে রশিদ। দুবাইয়ের সাবেক শাসক প্রয়াত শেখ রশিদ আল সাইদের নামে মনুষ্যবিহীন এই চন্দ্রযানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রশিদ রোভার’।
চাঁদের মাটির বৈশিষ্ট্য, চান্দ্র শিলার গঠন ও বৈশিষ্ট্যসহ চাঁদের ভূতত্ত্ব নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে রশিদ চান্দ্রযান। এটি চাঁদের ধূলিকণা, চন্দ্রপৃষ্ঠ ও প্লাজমাও বিশ্লেষণ করবে এবং কঠিন শিলার ওপর আচ্ছাদিত স্তরের ছবিও তুলবে। ফলে চাঁদের ধুলিকণা ও শিলা পরিবর্তনের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হবেন বিজ্ঞানীরা।