চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (নং ০১/২০২১) হয়েছে। সুনির্দিষ্ট দুইটি অভিযোগে গত সপ্তাহে এ মামলা হয়েছে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির জন্য সরকার হতে প্রাপ্ত টাকা এস্টেট শাখার দোকান ভাড়ার হিসাব নম্বরে জমা করেছেন সাইফুদ্দিন। সরকারি টাকা রাজস্ব তহবিলে সংমিশ্রণের কারণে ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্টস হতে আপত্তির পাশাপাশি হিসাবটি বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
এছাড়া ১৪টি চেক এসাইনম্যান্টকৃত হিসাব নম্বরে পরিশোধ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা করার অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ইতোপূর্বে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও জবাব সন্তোষজনক ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্তের আচরণ চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৪৯ (ক) (খ) মোতাবেক অসদাচরণ পর্যায়ভুক্ত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই বিধি অনুযায়ী কেন শাস্তি দেয়া হবে না তার জবাব তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে শুনানিতে কোন কিছু জ্ঞাত করাতে চাইলে বা আত্মপক্ষ সমর্থনে কোন স্বাক্ষ্য উপস্থাপন করতে চাইলে লিখিত জবাবে তা উল্লেখ করতে বলা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের আয়ন-ব্যয়ন কবর্মকর্তা মেয়র। মেয়রের নির্দেশ ছাড়া এক টাকাও খরচ করার সুযোগ নাই এবং সিদ্ধান্তের বাইরেও কিছু করার সুযোগ নাই। মেয়র যেভাবে বলেছেন সেভাবে দায়িত্ব পালন করেছি।
তিনি বলেন, তিন কোটি টাকা ছিল স্পেশাল বরাদ্দ। মেয়র সিটি কর্পোরেশনের যে অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলেছেন সে অ্যাকাউন্টে করেছি। এখানে টাকা আত্মসাৎ হয়নি। ঠিকাদারের বিলের বিষয়টিও একই। মেয়রের নির্দেশ মেনেছি।