চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | বৃহস্পতিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

সময় গড়ায়। নেতা আসে, নেতা যায়। প্রকৃত মাটির মানুষের সন্ধান মিলে না। আমরা এখন কর্মহীন অকার্যকর নেতার হোলিতে আছি। এই নেতা, সেই নেতা, কাকাতুয়া হাইব্রীড অপুর্যপরি নেতার পাহাড়। ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে ঢুকে যাচ্ছেন রাজনৈতিক বহরে। সবই ফায়দা বরণ -বর্ষন। লাগামহীন বোল তরঙে ভাসছে। তৃনমূল নেতা নেই, জ্ঞানযজ্ঞ নেতার সন্ধান মিলে না। তবে হাতগোনা যে কজন আছে তাদেরওকদর কই? ফলে রাজনৈতিক মাঠ সাময়িক সরগরম হলেও বুমেরাং। নিয়ন্ত্রণ হীনতায় শত গ্রুপিং, যুদ্ধবিগ্রহ ও উপদলীয় হানাহানির যন্ত্রণা পিষ্ট প্রকাশে শত অনুরাগ। তাইতো শুনতে হয়, সময়ের পথ ধরে এখন অসময়ে গর্জন। প্রশ্ন হয়ে দেখা দেয় -প্রকৃতি দেশ প্রেমিক নিষ্ঠাবান নেতা কি নেই? প্রতিশ্রুতি ছাড়া, জবাবদিহিতাবিহীন সতত স্বচ্ছতা মিলেনা। দেশ জনতার তরে ভালবাসার সেই মানুষটি কে চিনতে পেরেছিলেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রসন্ন ছায়াবৃত সেই মানুষটি মূল্য দিয়ে তুলে এনে দায়িত্ব দিলেন চসিক প্রশাসকের। বরেণ্য মহান নেতা খোরশেদ আলম সুজন ১৮০দিনের চসিক প্রশাসক হয়ে ফাটাকেষ্টের মত ছুটে বেরিয়ে যতটুকু সম্ভব অভারিত জোৎস্নার আলোকে আলোর পথের চিত্র আঁকিয়ে জনতার হৃদয়ে নিজেকে আবিষ্কার করলেন।
স্বচ্ছ সুন্দর প্রাণিত মনের অনবদ্য ধারা এর আগে আর কখনও দেখা যায়নি। খোরশেদ আলম সুজন সে ক্ষেত্রে সফল ও জনগণের সেবক। উত্তর কাট্টলীর ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা চট্টগ্রাম মহানগর রাজনীতি, চাকসুর ছাত্র রাজনীতির পুরোধা, কবিতার সমঝদার, লিটন ম্যাগজিনের প্রচ্ছন্ন সহযোদ্ধা, ঢাকার জাতীয় ছাত্রলীগের মাঠ কাঁপানো নেতা মুজিব প্রেমিক হয়ে যেখানে যা, সেখানে সেভাবে লড়েছেন সর্বশক্তি দিয়ে। সতত স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন ও নিষ্ঠায় তিনি দীর্ঘদিন চট্টল বীর মহিউদ্দিনর সময় সঙ্গী হয়ে রাজনৈতিক পরিচর্যা ও পরিশীলনর চট্টলার অলিগলি ঘুরে বেড়াতেন। সাহিত্য অনুরাগে তাঁকে খুঁজে পেতাম বড় বড় কবিদের আড্ডায়। প্রশাসক হয়ে চসিকের বদলে যাওয়া চেহারা কারো অজানা নয়। যাকে বলা হয়, ডায়াসপোরিক ফিকশন- তা বেশ দাপটের সাথে নির্নয় করতে সক্ষম হোন। উল্লেখ্য চট্টগ্রাম শহর কে সুপরিচ্ছন্ন নগর রূপান্তরে ছয়টি মাস নিরলস ছুটে বিস্ময় সৃষ্টি করেন। চসিক প্রশাসকের অভিমত–আমি কোন বিকল্প ব্যবস্থা নিইনি। শুধু বিকল্প পথ বেচে নিয়েছি। ঢেলে সাজিয়েছি, লোপাট হওয়া দুর্নীতি, হাতে নাতে ধরেছি অনেক অসামঞ্জস্য গড় মিল। হাতে নাতে অনেক শাস্তি দিয়েছি, ভয় ভীতি দেখিয়ে চসিক জনবল কে কর্ম কাজে মাঠে নামিয়েছি। আর দুদকের হাতে দুর্নীতির তালিকা ন্যস্ত করি। চসিক প্রশাসক তাঁর ক্যারাভান যাত্রায় সকাল কি দুপুর কি রাত, ছুটি কি কর্মদিবস শুধু ছুটেছেন চসিক আওতাময় জনপথে। সেবা খাত নিয়ে সুচারুরূপে মেতেছিলেন এই ১৮০ দিন(ছয়মাস)। খোরশেদ আলম সুজন, মহিমাময় এমন কর্মকাণ্ড অনুপ্রেরণার হয়ে থাকবেন আজীবন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুজন ভাই কে আরো যোগ্য স্থানে অধিষ্টিত করে নাগরিক সেবা বর্ধন করুন। আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাকে ছয়টি মাসের জন্য নেত্রী কেন দায়িত্ব দিয়েছিলেন জানি না। আমি যোগ্যতা দক্ষতা আমার যা জানা ছিল সাধ্যমতে সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি নগরবাসীর সেবা করতে। একটি উন্নত, বাসযোগ্য ও মানবিক শহর উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু সফল হয়েছি।
বিদায় বেলায় প্রশাসক আরো বলেন, কাজে সন্তুষ্ট হলে দোয়া করবেন, কষ্ট পেলে ক্ষমা করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের সব সড়ক দখলমুক্ত করা হোক নতুন মেয়রের প্রথম উদ্যোগ
পরবর্তী নিবন্ধমানসিকতা পরিবর্তন দরকার