‘চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের সিএমএল ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি’

বিশ্ব সিএমএল দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

দেশে রক্তের ক্যান্সারের রোগীদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ রোগী হচ্ছে ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া (সিএমএল) ধরনের। চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের রোগটি হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ধরনের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হচ্ছে তেজস্ক্রিয়তা। কারণ তেজস্ক্রিয়তা সংশ্লিষ্ট কাজে পুরুষের অংশগ্রহণই বেশি।

গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে নতুন কনফারেন্স হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ব সিএমএল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাটি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, মানুষের বংশগতির বাহক ক্রোমোসোমের ৯ ও ২২ নম্বরের মধ্যে বিনিময়জনিত পরিবর্তনের কারণে এই রোগের উৎপত্তি। সিএমএলের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে অবসাদগ্রস্ততা, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, ঘাম হওয়া, কোনোকিছু ভালো না লাগা, গরম সহ্য করতে না পারা, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া, হঠাৎ জ্বর আসা এবং কারণ ছাড়াই চুলকানি বেড়ে যাওয়া। এসব দেখা দিলে রক্তের পরীক্ষা করাতে হবে। এই রোগের ওষুধ ও চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে। নিয়মিত চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা যায়।

অনুষ্ঠানে চমেক হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রাব্বানির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ জসিম উদ্দিন, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস সাত্তার, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন ঢালি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চমেক হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান।

এছাড়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তুলি দত্ত। অনুষ্ঠানে সিএমএল আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, চিকিৎসক, নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন