কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা এলাকায় চলন্ত বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাসের চালক ও তার সহকারী মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় গত মঙ্গলবার একটি মামলা করেছেন।
এরপর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত বাস চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– বাস চালক আজাদ খান ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলাম। পরে তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে দুই আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
আদালতে থাকা নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার নারী–শিশু বিষয়ক জিআরও (এসআই) শাহিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণ মামলায় মঙ্গলবার দুজন আসামিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির পৃথক দুটি আদালতে উপস্থাপন করা হলে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালত সূত্র জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টায় পটিয়ার মনসা বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে করে নগরীর বাকলিয়ার তুলাতলিতে স্বামীর বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। শাহ আমানত ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে বাসের চালক ও হেলপার তাকে ধর্ষণ করেন। বাসে তখন অন্য কেউ ছিলেন না। একা পেয়ে বাসের পেছনের সিটে নিয়ে গিয়ে একজনের পর একজন ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে নানা জায়গা ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ভিকটিম নারীকে পটিয়ার শান্তিরহাটে নামিয়ে দেওয়া হয়। আত্মীয়ের বাসা থেকে ভিকটিম নারী ফিরছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ভিকটিম নারীর স্বামী একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। দুই মাস আগে তারা বিয়ে করেন। কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ভিকটিমের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।