চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে যাতে জনদুর্ভোগ না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ। এ সময় তিনি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পকে চট্টগ্রাম শহরের প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরবাসী সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ থেকে বহুলাংশে মুক্তি পেতে চলেছে।
প্রকল্প নিয়ে গত সোমবার সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ শাররিফ মানির সাথে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন সিডিএ চেয়ারম্যান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ শাররিফ মানি বলেন, প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করলেও এর মূল উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যে আন্তরিক সহযোগিতা করছেন তা অতুলনীয়। তিনি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক যে সকল প্রকল্প চলমান রয়েছে তার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে সিডিএ চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যেও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পটিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। যার সুফল বিগত বর্ষা মৌসুমেও কিছুটা পাওয়া গেছে। চলমান বর্ষা মৌসুমেও পাওয়া যাবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান, উপ–সচিব অমল গুহ, অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন, উপ–প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের সিপিসি কর্নেল মোহাম্মদ ইমরান ইসলাম ভূঁইয়া, বর্ডার রোডের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, লে. কর্নেল নিজাম, জলাবদ্ধতা নিসরন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ, মেজর মোহাম্মদ রিজওয়ানুর রহমান রিকাবদার, মেজর রাকিব ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মেজর (অব.) সরদার জিয়াউর রহমান।