চলতি বছরেই নতুন আইকনিক ভবনে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। বিদ্যমান ৫ তলা বিশিষ্ট পুরনো ভবন থেকে অফিসিয়াল কার্যক্রম ২০ তলা বিশিষ্ট ওয়াসার প্রধান অফিস ভবনে স্থানান্তরের জন্য এখন পুরোদমে কাজ চলছে। প্রায় ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ তলা এই আইকনিক ভবনে ওয়াসার কার্যালয়ের পাশাপাশি পরিচালিত হবে বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
নগরীর ওয়াসার মোড়ের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় দেড় একরেরও বেশি জমির উপর এই ২০ তলা বিশিষ্ট আইকনিক ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে দুটি বেইজমেন্টসহ তিনতলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন এই তিনতলা ভবনেই ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়াসার প্রধান অফিস স্থানান্তরিত হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসার নিজস্ব ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ভবনের এই তৃতীয় তলা পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট কাজের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, চট্টগ্রামের অত্যন্ত চমৎকার একটি লোকেশনে ওয়াসার ২০ তলা আইকনিক ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। এই ভবনের উভয়পাশে ৪ লেইনের সড়ক। আমরা এখন তিনতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করলেও আমাদের ৫ম-৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত লাগবে। এরপরের ফ্লোরগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বরাদ্দ দেয়া হবে। চলতি বছরের শেষের দিকে আমরা নতুন ভবনে যাত্রা শুরু করব। এখন তিন তলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রথম ধাপে তিন তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা ঐ ভবনে চলে যাব। পরবর্তীতে ভবনের অবশিষ্ট কাজ শুরু হবে। ওয়াসার চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট (সিডব্লিউএসআইএসপি) প্রকল্পের আওতায় এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ওয়াসা চারটি পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে ওয়াসার কর্মপরিধি। বাড়ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা। সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে বহুতল ভবনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্লোর ওয়াসার দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করা হবে বাকিগুলো। এর মাধ্যমে ওয়াসার রাজস্ব আয় বাড়বে।
জানা গেছে, ২০ তলা ভবনটিতে থাকবে হেলিপ্যাড সুবিধা। অগ্নিনির্বাপণের জন্য রাখা হবে ফায়ার হাইড্রেন্ট। এছাড়া থাকছে আধুনিক পার্কিং ব্যবস্থা। কোনো প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিতে চাইলে তাদের নিজস্ব ডিজাইনে ডেকোরেশনের ব্যবস্থাও রাখা হবে। শহরের মূলকেন্দ্রে হওয়ায় আধুনিক ও আকর্ষণীয় করা হবে ভবনটি। এতে থাকবে একাধিক কনফারেন্স রুম।












