চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৬ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

আর্থিক খাতে নীতি সংস্কারের তাগিদ

| বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

চলতি ২০২৩২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের চাপ, আর্থিক খাতের ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তা জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। খবর বাংলানিউজের।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির ঢাকা অফিসে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এমন তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ নাজমুস সাকিব খান। সংস্থাটি বলছে, আগামী অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে শুরু করবে। সেজন্য আর্থিক খাতে নীতি সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। সুদ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রকৃত অর্থে বাজারনির্ভর করার পরামর্শও আসে বিশ্বব্যাংক। বর্তমানে নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ক্রেতারা। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক। কারণগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা। এসব কারণে এপ্রিল মাসে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে আভাস দিয়েছিল তার থেকে কিছুটা কমবে।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, আগামী ২০২৪২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২২২৩ অর্থবছরে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি ২০২৩২৪ অর্থবছরে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকানাডার ৪১ কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলল ভারত
পরবর্তী নিবন্ধবৈরী আবহাওয়া সেন্টমার্টিনে ফের আটকা দুই শতাধিক পর্যটক