গত ২৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দেশে এরই মধ্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। শুরুতে রাজধানী ঢাকায় এ টিকাদান কার্যক্রম চলছে। আর ঢাকার বাইরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান শুরুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামেও (মহানগর ও উপজেলায়) আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার টিকাদান শুরু হচ্ছে। মহানগরে টিকাদানে ১৫টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হলেও শুরুতে কেবল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এ টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। টিকাদানে এরই মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ চলছে চমেক হাসপাতালে। হাসপাতালের চার তলায় (আইসিইউর পাশে) চারটি বুথে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, টিকাদানে এরইমধ্যে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। চারটি বুথে এই টিকা দেয়া হবে। টিকাদানের পর টিকা গ্রহণকারীকে আধ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ধরনের জটিলতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা দেখার জন্যও মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। মোটকথা সব দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি ভালো মতোই টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, করোনার টিকাদানে হাসপাতালের চারতলায় (আইসিইউর পাশে) আলাদা আলাদা চারটি বুথ প্রস্তুত করে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে পুরুষের জন্য দুটি এবং মহিলাদের জন্য দুটি বুথ থাকছে। টিকাদান বুথের পাশেই থাকছে অপেক্ষার স্থান। টিকাগ্রহণ পরবর্তী এই অপেক্ষাগারে আধ ঘণ্টা (৩০ মিনিট) অপেক্ষায় থাকবেন টিকা গ্রহণকারী। এই সময়টুকুতে টিকা গ্রহণকারীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ধরনের জটিলতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এর জন্য প্রস্তুত থাকবে মেডিকেল টিম। এই পরিস্থিতিতে পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা কক্ষে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। টিকা গ্রহণকারীদের জন্য থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থাও।
হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে- ৭ ফেব্রুয়ারি চারটি বুথে চারজনকে দিয়ে এই টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। এর পরপরই পর্যায়ক্রমে অন্তত একশ জনকে প্রথম দিন টিকা দেয়ার টার্গেট রয়েছে হাসপাতাল প্রশাসনের। চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীসহ অগ্রাধিকার তালিকাভুক্তদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রেশন ধারীদের এ টিকা দেয়া হবে। যদিও এর বেশি সংখ্যককেও টিকা দেয়া যাবে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর।