বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আহত ৩৪ জন এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন। এদিকে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সুনিশ্চিতে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা বিশেষ ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনেরা ওয়ার্ডে বিশেষায়িত সেবা পাচ্ছেন, এতে তারা সন্তুষ্ট। চমেক হাসপাতালে আহত রোগীরা বর্তমানে আইসিইউ ছাড়াও অর্থোপেডিকস, নিউরো সার্জারি ও ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে সেবা নিচ্ছেন। এসব ওয়ার্ডে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকও রয়েছে।
জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আলাদা বিশেষায়িত ইউনিটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের সাথে কথা বলেছি। তাদের মতামত হচ্ছে, আহত রোগীরা ওয়ার্ডে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন। রোগীর স্বজনেরাও সন্তুষ্ট। এছাড়া ইনফেকশনের ঝুঁকিও নেই। এর মধ্যে অনেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে গেছেন।