চবির লেখকরা ভৌগোলিক সীমানার বাইরেও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিস্তার ঘটাচ্ছেন

চবি লেখক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

| রবিবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

চবি লেখক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক এবং বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যাঁরা লেখক, তাঁদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ প্রতিস্থাপন করা ও লেখকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন ভূমিকা পালন করবে। তাঁরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আগ্রহী সাহিত্যকর্মীদের লেখালেখি চর্চায় উৎসাহিত করতে কর্মশালাসহ নানা রকম আয়োজন অব্যাহত রাখতে হবে। বক্তারা বলেন, সাহিত্যচর্চায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখকরা এক সমৃদ্ধ ধারার অংশ, যা ভৌগোলিক সীমানার বাইরেও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিস্তার ঘটাচ্ছে। গতকাল শনিবার লেখক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে অনুবাদে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক জি এইচ হাবীবকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। লেখক অভীক ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন প্রফেসর মুজিব রাহমান, প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, প্রফেসর ড. শারমিন মুস্তারী, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসহাক, অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ। আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, সাহিত্যিক কখনো পুরস্কারের জন্য সাহিত্য করেন না। প্রত্যেক সাহিত্যিকই ভেতরের তাড়না থেকে সাহিত্য রচনা করেন। শক্তিমান অনুবাদক জি এইচ হাবীবও পুরস্কারের জন্য লেখালেখি করেন না। তবু বাংলা একাডেমি তাঁকে পুরস্কার দিয়ে তাঁর কাজের মূল্যায়ন করেছেন। অনুবাদসাহিত্যে একেবারেই ব্যতিক্রম জি এইচ হাবীব। অনুবাদকর্মে তিনি স্বতঃস্ফূর্ত। তিনি প্রতিটি শব্দের পেছনে গবেষণা করেন, প্রতিটি বাক্যের পেছনে পরিশ্রম করেন। সাহিত্যের প্রতি তাঁর নিবেদন অত্যন্ত আন্তরিক। এরপর ছিল লেখক কর্মশালার সনদ বিতরণ প্রফেসর রীতা দত্তের সভাপতিত্বে ও ইসমাইল জসীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচক ছিলেন লেখক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম, মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, প্রফেসর ড. মুন্সী আবু বকর, নাসের রহমান, কাজী রুনু বিলকিস, . শামসুদ্দিন শিশির, অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া।

এছাড়া দুই পর্বে ছিল স্মৃতিচারণ ও কবিতা পাঠ। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্তী। সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী। এতে অংশ নেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, প্রফেসর ড. নারায়ন বৈদ্য, সাইফুদ্দিন আহমদ সাকী, মারজিয়া খানম সিদ্দিকা, জসিম উদ্দিন খান, মিজানুর রহমান শামীম, ইকবাল হায়দার, শংকর প্রসাদ দে, অধ্যক্ষ ছন্দা দাশ, গৌতম কানুনগো, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, অধ্যাপক নিশাত হাসিনা শিরিন, অধ্যাপক শেখ মঈনুল হক চৌধুরী জোসেফ, অধ্যাপক ফারিহা জেসমিন ইসলাম, অধ্যাপক উজ্জ্বল মুৎসুদ্দী সম্পু, পুষ্পিতা সেন, স্বপন কুমার বড়ুয়া, শিউলী নাথ, গাজী মোহাম্মদ নুরউদ্দিন, শরীফ মাহমুদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক লালন কান্তি দাশ, আলী তারেক পারভেজ, ফজলুর রহমান, . বিকিরণ বড়ুয়া, প্রফেসর ড. সুমন দে, ফারহানা ইসলাম রুহী, শারুদ নিজাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, সৈয়দা করিমুননেসা, অধ্যাপক নাসিম আখতার রীনা, নিলুফা ইয়াসমিন জয়িতা, অধ্যাপক কামরুল আনোয়ার চৌধুরী, তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, কৌশিক রেইন, মনোয়ার হোসেন রতন, অধ্যাপক গৌরীপ্রভা দাশ, অধ্যাপক গোপা রানী দে, অধ্যাপক পলাশ মুৎসুদ্দী, বিকাশ বড়ুয়া, মোহাম্মদ নেছার, নাহিদা আকতার লাকি, অধ্যাপক বশির উদ্দিন কনক, নীহারেন্দু বড়ুয়া, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, শাহেদ আলী টিটু। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্ম ব্যতীত শিক্ষায় মানুষ বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে : ধর্ম উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধযুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলায় নিহত ২০