ছাত্রদের দাবির মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য এবং তিনটি আবাসিক হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি–প্রোভিসিসহ প্রশাসনের সকলের পদত্যাগ। এ লক্ষ্যে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বন্ধ রয়েছে মূল ফটক।
গতকাল শনিবার দুপুরে প্রক্টর ও তিন হল প্রভোস্টের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. অহিদুল আলমের নেতৃত্বে ১০ জন সহকারী প্রক্টর এবং আলাওল হলের প্রভোস্ট সৃজিত কুমার দত্ত, এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট আলী আরশাদ ও সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট শেখ সাদী পদত্যাগ করেছেন। তবে অফিস বন্ধ থাকায় আমি কারো পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি।
প্রক্টর ড. অহিদুল আলম আজাদীকে বলেন, আমি শনিবার সকাল ১১টায় আমার পদত্যাগপত্র উপাচার্যকে জমা দিয়েছি। সবাই সবার নিজ নিজ পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছেন।
এদিকে গত শুক্রবার থেকে টানা দুইদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে চবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু তাহের, উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, উপ–উপাচার্য (প্রশাসনিক) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী এবং প্রক্টরিয়াল বডিসহ হল প্রভোস্টদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে চবির প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ এবং আলাওল, এ এফ রহমান এবং সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেছেন।