ডাইনিংয়ের খাবারের নিম্নমান ও আবাসিক শিক্ষকরা হলে না আসা, কর্মচারীদের অশোভন আচরণ এবং সর্বশেষ একজন শিক্ষার্থীকে ডাইনিং কর্মচারী কর্তৃক হেনস্তাসহ নানা অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষকদের ভিতরে রেখে রুমে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রুমে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। পরে বেলা একটার দিক প্রক্টরিয়াল বডি এসে শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া শুনেন এবং সমাধানের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একজন শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে। এরকম সব সময় হয়ে আসছে। কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। দীর্ঘদিন হলের ডাইনিংয়ের নিম্নমানের খাবার, ডাইনিংয়ে কর্মচারীদের বাজে আচরণ ও শিক্ষকরা নিয়মিত হলে আসেন না৷
এছাড়া হলের সিট বন্টন নিয়ে ঝামেলা রয়েছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেকেই বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে হলে অবস্থান করছে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি, হাউস টিউটরদের হলে উপস্থিত থাকা, আবাসনের সমতা বন্টন, হল-ডাইনিংয়েে কর্মচারীদের খারাপ ব্যবহারের প্রতিকার করতে হবে, পানি সংকট, হলের সংস্কার কাজ তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করতে হবে (মেরামত), খাবারের মান বাড়াতে হবে এবং মূল্যতালিকা প্রভোস্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থী বলেন, হলে যেটা সত্যিকার অর্থে দরকার, সেটা নাই। হলে নিয়মিত পানি থাকে না, পানি ফিল্টার নাই। অথচ এসব না করে বিনোদনের জন্য টেনিস কোর্টে দোলনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হলের নিচ তলার অনেক রুমে লকার, চেয়ার, টেবিল এগুলো নষ্ট।
এছাড়া উইপোকার সমস্যা তো আছেই। হলে খাবারের মান খুব নিম্নমানের। খাবারের দাম বেড়েছে কিন্তু মান বাড়েনি। এছাড়া ডাইনিং ক্যান্টিনের কর্মচারীদের আচার-আচরণ খুবই অশোভন।
প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট পারভীন সুলতানা বলেন, আমরা ভিতরে মিটিং করতেছি। জানি না কেউ বাহির থেকে তালা দিয়েছে কিনা। শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া থাকলে সেটা জানাবে, আমরা ব্যবস্থা নেব। পরে অভিযোগ জমা দিলে তিনি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।