চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘ছাত্ররাজনীতির সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারটিতে ছাত্র সংগঠনের প্রায় ১৭টি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এই সেমিনারে প্রত্যেক সংগঠনের প্রতিনিধিরা ভবিষ্যতের ছাত্র রাজনীতির সংকট সমাধানে নিজেদের মন্তব্য তুলে ধরেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে স্টুডেন্টস অ্যাল্যায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির (স্যাড) উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অডিটোরিয়ামে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চবির প্রচার সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শাহরিয়ার ফারুক ভূঁইয়া, রাষ্ট্রচিন্তার আল–মাসনুন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর জশদ জাকির, বিপ্লবী ছাত্র–যুব আন্দোলনের ঈশা দে, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আজাদ হোসেন, স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির আবির বিন জাবেদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মোনাল চাকমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রিজাউর রহমান, নারী অঙ্গনের সমাইয়া শিকদার, গাউসিয়া কমিটির মুনতাসীর মাহমুদ, ক্লাব অ্যালায়েন্স অফ সিইউ এর সাজ্জাদ হোসেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ধ্রুব বড়ুয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের তামজিদ উদ্দীন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশের সাকিব মাহমুদ রুমী, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের তারেক মনোয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আমিনুল ইসলাম রাকিব।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির অন্যতম বড় সংকট ভিন্ন দল ও মতকে সহ্য করতে না পারা। আমরা ইতিপূর্বে দেখতাম একক আধিপত্য বজায় রাখতে অনুগত দলদাস তৈরি করা হতো। আদর্শের ক্ষেত্রে জোর–জবরদস্তি করা যাবে না। প্রত্যেক দল ও মত তার আদর্শ প্রচার করবে, শিক্ষার্থীরা যে আদর্শ পছন্দ করবে তা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যেও সহিষ্ণুতা থাকবে যেন অন্য মত কে সুযোগ করে দিতে পারে। বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের নিপীড়ন চলেছে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে। আমরা দেখেছি শিবির করার কারণে এবং শিবির ট্যাগ দিয়ে ছাত্রদের মারধর করে তুলে নেওয়া হতো। প্রশাসন ছাত্রদের রক্ষা না করে উল্টো পুলিশে দিয়ে দিতো। ছাত্রলীগ এতবড় দানব হতে পারতো না যদি প্রশাসন সাহায্য না করতো। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী তার ন্যূনতম অধিকার ভোগ করবে। হলে তার একটি সিট থাকবে, খাবারের মান ভালো হবে। তাহলে শিক্ষার্থী কে হলের সিটের জন্য অনিচ্ছাসত্ত্বেও কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে হবে না। বরং শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল কে জবাবদিহিতার আওতায় আনবে।