চবিতে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সের চার গবেষকের সংবর্ধনা

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৮:১৭ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের জিনের বিন্যাস উন্মোচনে সফলতার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চার গবেষককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার করোনার জিনোম সিকোয়েন্স করেন তারা।
সংবর্ধিত গবেষকরা হলেন বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক ও ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ। এছাড়াও গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী গবেষকদেরও ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন চবি উপাচার্য।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান-গবেষণার উন্মুক্ত চারণভূমি। এ চারণভূমিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে আরও আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গবেষক ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া এবং ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং (জিনের বিন্যাস) উন্মোচনের আদ্যোপান্ত বিবরণ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চবি সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মো. দানেশ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদর ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মাইনুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সে পাঁচটি নতুন মিউটেশন পাওয়া গেছে এ গবেষণায়। দেশে অন্যান্য সিকোয়েন্সের তুলনায় এ পাঁচটি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছে।
মিউটেশনগুলো হলো এস১৫৫আই (১টি নমুনায় প্রাপ্ত), এন৩৫৪এস (১টি), এস৪৭৭এন (১টি), পি৬৮১এইচ (১টি), এবং ভি১১২২এল (১টি)।
তাদের মধ্যে পি৬৮১এইচ মিউটেশনটি সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্য পাওয়া নতুন ভাইরাসের কয়েকটি মিউটেশনের একটি। তবে এ মিউটেশনে ভাইরাসটি আক্রান্তের সক্ষমতা কতটুকু তা নিয়ে গবেষণা করার দরকার আছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এছাড়া বিভিন্ন জিনের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোট ৮৬টি নিউক্লিওটাইড পরিবর্তন হলেও অ্যামিনো এসিডে বা মিউটেশনে কোন পরিবর্তন হয়নি। সবগুলো মিউটেশন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ৫টি মিউটেশন চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে বিস্তার করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেলওয়েতে টিকেট বিক্রির ৯২ হাজার টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
পরবর্তী নিবন্ধরাজাকার ও খুনীর মদদদাতাদের রুখে দিতে ভোটারদের নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করুন