চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক লাঞ্ছনার অপরাধে আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমির সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় দুই বছরের বহিষ্কার আদেশ পাওয়া নয় শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গণশুনানি ও নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত চবির ৫৫৯তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চবির উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বহিষ্কার আদেশ পাওয়া নয় শিক্ষার্থীর ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে নৌকা ভাঙতে গেলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই হলের ছাত্রীরা। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত এক ছাত্রী সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলীর গায়ে হাত তুলেন। ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেয়া ও অন্যান্য সাংবাদিকদেরও হেনস্তা করে ছাত্রীরা। এছাড়া উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করেন ছাত্রীরা।
সহকারী প্রক্টরকে শারীরিক লাঞ্ছনা, শিক্ষক–শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অপরাধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির এক সভায় ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার অপরাধে আইন বিভাগের ২০১৮–১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। বাকি ৯ জনকে দুই বছর করে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে ৯ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার বেলা তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যে ছাত্রীর সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সিন্ডিকেটে এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকিদের বহিষ্কারাদেশ বহাল রয়েছে। তবে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে।