চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেট সভার এক সিদ্ধান্তকে ‘কটাক্ষ’ করার অভিযোগে সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন মিত্রের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন শিক্ষক লিটন মিত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া অশোভন আচরণ। এজন্য আমরা ওই শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি।
কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত চবি ৫২৬তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে এবং বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করেছেন। যা চবি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃক্সখলা) সংবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে এইপত্র ইস্যুর তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করা হলো’। এ বিষয়ে শিক্ষক লিটন মিত্র বলেন, তিনি চিঠিটি পেয়ে বিস্মিত হয়েছেন। কারণ চিঠিতে আমি সিন্ডিকেটের কোনো সিদ্ধান্তকে নিয়ে কটাক্ষ ও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেছি, সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। তাই রেজিস্ট্রার মহোদয়ের প্রেরিত চিঠিটি আমার কাছে অপূর্ণাঙ্গ মনে হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেন, তাছাড়া ফেইসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ইস্যুতে কী লেখা যাবে বা কী লেখা যাবে না, সে বিষয়টি নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা আছে কি না আমার জানা নেই। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা যদি থাকে তাহলে তার একটি কপি আমাকে দিলে সে নীতিমালা অনুযায়ী ফেইসবুক ব্যবহারের চেষ্টা করব।