টেকনাফে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে একই সময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফটক খুলে দেয়। গতকাল রোববার চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। একাত্মতা পোষণ করে যোগ দেয় চবি অফিসার সমিতি।
এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষা সফরকালে চবি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের ওপর এমভি বে–ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের স্টাফ কর্তৃক ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষক আফতাব উদ্দিন বলেন, হামলার সময় বিজিবি উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাদের সাথে কি বিজিবির কোনো যোগসাজশ রয়েছে? দেখা যাচ্ছে আমরা বাংলাদেশের কোনো জায়গায় নিরাপদ না। আমার প্রশ্ন এই ঘটনার দোষীরা এখনো কেন নির্বিচারে ঘুরে বেড়াচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং এ্যালামনাইদের প্রতি আমার প্রশ্ন কেন বিচার হচ্ছে না!
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে বলেন, এই কর্মসূচির সাথে আমি একাত্মপোষণ করছি। দোষীদের বিচারের আওতাভুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম দ্রুত বিচার দেখতে পাব। কিন্তু প্রশাসন আমাদের হতাশ করেছে। এটা শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর হামলা না নয়, পুরো বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর হামলা। এই মানববন্ধন থেকে আমরা বলতে চাই এই মামলার বাদী প্রশাসনকে নিয়ে দ্রুত বিচারের আওতাভুক্ত করতে হবে। দ্রুত বিচার না হলে কঠিন আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হকের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, সদস্য প্রফেসর ড. রাকীবা নবী, প্রফেসর ড. ফরিদুল আলম প্রমুখ।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, এই ঘটনায় আমরা নিজেরাই মর্মাহত। শিক্ষার্থীদের সব দাবি আমরা আমলে নিয়েছি। খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। জড়িতদের দ্রুত বিচারের বিষয়ে চবি প্রশাসন যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিবে।