‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান। বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন। সেমিনারের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কিশোয়ার জাহান চৌধুরী।
উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) উপস্থিত সকলকে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। যা দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার অন্যতম উপাদান হলো ভুমি, বৃক্ষ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ধরীত্রি সুন্দর ও সুরক্ষিত রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচুর বৃক্ষরোপনের পাশপাশি পরিবেশ বিধ্বংশী যে কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) এই ধরীত্রি সুরক্ষায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
পূর্বাহ্নে ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের উদ্যোগে এক র্যালি এবং চবি ঝুলন্ত সেতুর কাছে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ, সুধীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।