চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের অনিয়ম–অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রম ও চরম প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাসহ ২৯টি অভিযোগ তুলে ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গত রোববার রাতে পাঠানো এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় সংগঠনটি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার সকাল একারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষক সমিতি। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির তোলা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সিন্ডিকেটে ডিন, প্রভোস্ট এবং একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত মামলা করে নিয়োগ–বাণিজ্য চক্রের সাথে যুক্তদের খুঁজে বের করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা প্রভৃতি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক বলেন, আমরা ২৯টি বিষয় উল্লেখ করেছি এবং এতে একটার চাইতে আরেকটাকে কম গুরুত্ব দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এসব অনিয়ম দুর্নীতি চলে আসছে। বিভিন্ন সময় দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের আশ্বাস দিলেও তা পূরণের কোনো উদ্যোগ প্রশাসন গ্রহণ করেনি। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে এবং এক প্রকার অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলা যায়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা আপাতত ৩ দিনের কর্মসূচি দিয়েছি। এরপরেও সমাধান না হলে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ও সদস্যদের সাথে কথা বলে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।