চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর চন্দন কুমার পোদ্দার অব্যাহতি নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তিনি অব্যাহতির আবেদন করেন। এর আগে গত ২৫ মে বিভাগের প্রায় সব শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে ১২টি গুরুতর অভিযোগ জমা দেন প্রশাসনকে। সভাপতির গাফেলতির কারণে স্নাতকোত্তরের ফলাফল প্রকাশে অনীহাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।
আবেদনপত্রে তিনি লিখেন, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতির পদ হতে ব্যক্তিগত কারণে অব্যাহতি পেতে চাচ্ছি। বিষয়টি বিবেচনায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রফেসর চন্দন কুমার পোদ্দারের আবেদন গ্রহন করে একইদিন নতুন সভাপতি নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর মো. সাখাওয়াত হোসেন। চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নতুন সভাপতির নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। এই অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর চন্দন কুমার পোদ্দার এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে উক্ত বিভাগের সভাপতির পদ থেকে মঙ্গলবার (গতকাল) হতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের সংবিধির ৭নং ধারা মোতাবেক পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর মো. সাখাওয়াত হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মোতাবেক প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ তিন বছরের জন্য উক্ত বিভাগের সভাপতি নিয়োগ করা হলো। এ নিয়োগ মঙ্গলবার (অপরাহ্ন) থেকে কার্যকর হবে।
এ ব্যাপারে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রফেসর চন্দন কুমার পোদ্দার অব্যাহতির আবেদন করেছেন এবং আমরা তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন সভাপতি নিয়োগ দিয়েছি। এর বাইরে তার কিছু করার ছিলো না। বিভাগের ২০ জন শিক্ষকের ১৬ জনই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। তার সামনেই সবাই অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেছে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এসব অভিযোগের।
জানা গেছে, গত ২৫ মে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষকরা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর চন্দন কুমার পোদ্দারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবটিতে বিভাগের মোট ১৬ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেন। শিক্ষকদের হয়রানি, মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে অনীহাসহ মোট ১২টি গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করে এ অনাস্থা প্রস্তাব দেন তার সহকর্মীরা।