চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটি হলো বিজয় (সোহরাওয়ার্দী হল) ও সিক্সটি নাইন। বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা নিজেদের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।
পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে আসলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানতে চাইলে বিজয় গ্রুপের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। আমরা সিনিয়ররা মিলে সমাধানের করার চেষ্টা করছি।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, দুই জুনিয়রের মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। এটি রাজনৈতিক কোনো ঝামেলা না। প্রক্টরিয়াল বডিকে সঙ্গে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুই পক্ষকেই হলে পাঠানো হয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
