রাঙামাটি থেকে রাজস্থলী এবং বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াত পথে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা ফেরি দিয়ে কর্ণফুলী পার হতে হয়। চলমান অতিবর্ষণে ডুবে গেছে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটের পাটাতন। গতকাল রোববার বিকাল ৫টা থেকে ফেরির উভয় অংশের পাটাতন ডুবে যায়। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফেরি পারাপার বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। সন্ধ্যা ৬টায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের রাইখালী অংশে ফেরির পাটাতন ডুবে গেছে। এ সময় বেশ কিছু সিএনজি-অটোরিকশাসহ নানা যানবাহনে পাটাতনে আটকে গেছে। তবে আটকে পড়া প্রতিটি সিএনজি ৫০ হতে ১০০ টাকার বিনিময়ে পার করে দিচ্ছেন ফেরিঘাট এলাকার কিছু শ্রমিক।
এ সময় সিএনজি চালক খোকন মল্লিক, মো. ফরিদ, ইস্কান্দর হোসেন জানান, অতিরিক্ত পানি উঠায় ফেরির পাটাতন ডুবে গেছে। বাড়তি টাকার বিনিময়ে লোকজনের সহায়তায় সিএনজি কোনোরকমে ফেরিতে তুলতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল আরোহী জয়ন্ত ধর জানান, পাটাতনে অতিরিক্ত পানির ফলেফেরিতে উঠতে পারছি না। একই দৃশ্য রাঙ্গুনিয়ার অংশে ফেরিঘাট এলাকায়।
এই অংশেও ফেরির পাটাতন ডুবে হালকা যানবাহন চলাচলে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঙ্গালহালিয়া থেকে আসা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ঝুলন দত্ত বলেন, আজকের মতো অবস্থা অতীত নিকটে দেখিনি। ফেরির তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজাহান ও চালক আমিন জানান, অতি বর্ষণের ফলে কর্ণফুলীতে পানি বেড়েছে। রবিবার বিকেল ৫টা হতে ফেরিঘাটের উভয় পাড়ে পাটাতনে পানি উঠে যায়। ফলে ভারী যানবাহন তীরে উঠতে পারলেও হালকা যানবাহন যেমন সিএনজি ও মোটর সাইকেল তীরে উঠতে পারছে না। এ ভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাটাতনে অতিরিক্ত পানি উঠবে। তখন ফেরি চলাচল যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানান তারা।