চন্দনাইশে শ্যালিকাকে অপহরণের ২২ দিন পর উপজেলার বৈলতলী এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণকারী দুলাভাই পলাতক রয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আজ বুধবার সকালে অপহৃতের দুলাভাই মোহাম্মদ হান্নানের বাড়ি থেকেই শ্যালিকাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার আহমদুর রহমানের বড় মেয়ে আসমা আক্তারের সাথে বৈলতলী ইউনিয়ের জাফরাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ হান্নানের সাথে ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।
দেড় বছর বিবাহ জীবনে তাদের সংসারে ১টি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ের আনুমানিক ১ বছর পর হতে হান্নান অহেতুক কারণে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন অশ্লিল ভাষায় গালমন্দসহ মারধর করে আসছিল। পাশাপাশি অনেক দিন যাবত শ্যালিকা নাজমা আক্তার আদিপা (১৬)’কে অবৈধ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে।
আদিপা ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বিষয়টি হান্নানের স্ত্রী আসমা আকতার (২২) জানতে পেরে তার স্বামী হান্নানকে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হান্নান তার স্ত্রী আসমা আকতারকে ডিভোর্স দেয়ার হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে মারধরের পর বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং ডিভোর্স এর জন্য আদালতের একটি নোটিশ সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠায়।
এদিকে সম্প্রতি আদিপা সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বহরম পাড়াস্থ তার খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলে গত ১৯ জুন হান্নানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহযোগিতায় আদিপাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ হান্নানের শ্বশুর আহমদুর রহমান বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, শ্যালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে মামলা দায়েরের পর পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ মামলার বিবাদী হান্নান তার পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি বিক্রি করতে আসার খবর পেয়ে পুলিশ তার বাড়ি বৈলতলী জাফরাবাদ এলাকায় অভিযান চালায়।
কিন্তু অভিযান পরিচালনার বিষয়টি টের পেয়ে আসামি হান্নান পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি থেকে অপহৃত শ্যালিকা আদিপাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আদিপার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য কাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।