চন্দনাইশে নিখোঁজের ৮ দিন পর পুকুরে মিলল পত্রিকা হকারের লাশ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | বুধবার , ৩০ আগস্ট, ২০২৩ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের পত্রিকা হকার শ্যামল কান্তি নাথ নিখোঁজের ৮ দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে চন্দনাইশ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নের দেয়ানঞ্জি পাড়াস্থ দাম্মো পুকুরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদে খবর দেয়। পরে তিনিসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিখোঁজ শ্যামলের পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা এসে লাশটি ৮ দিন আগে নিখোঁজ শ্যামল কান্তি নাথের লাশ বলে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে চন্দনাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পুকুরে লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরুতহাল রির্পোট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

উল্লেখ্য, উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাথপাড়ার পুলিন বিহারী নাথের ছেলে পত্রিকা হকার শ্যামল কান্তি নাথ। গত ২১ আগস্ট ভোরে ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে পরিবারে সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এবং তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে নিখোঁজ শ্যামলের ভাই পরিমল কান্তি নাথ বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই চন্দনাইশ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। নিখোঁজ শ্যামল কান্তি উপজেলার বরমা এলাকায় পত্রিকা বিক্রি করতেন। তার স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। ছেলে প্রবাসী।

নিহত শ্যামলের ভাই পরিমল কান্তি নাথ জানান, পত্রিকা বিক্রির পাশাপাশি শ্যামল জায়গাজমি ক্রয়বিক্রয় সংক্রান্ত কাজও করতো। এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে তার বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে তার ভাই শ্যামলকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি আশংকা করছেন। তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানবীর আদর্শই পারে বিশ্বময় শান্তি ফেরাতে
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির দল নয়