চন্দনাইশে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:৪১ অপরাহ্ণ

চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল এলাকায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রুবি আকতার (২২)। আজ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে দিয়াকুল আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাঁশখালী উপজেলার জনৈক রাজা মিয়ার কন্যা রুবি আকতারের সাথে গত ২ বছর পূর্বে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় চন্দনাইশের দোহাজারী পৌসরভার দিয়াকুল আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার মো. জবির আহমদের পুত্র রিকশাচালক মো. মঈনুদ্দিন(৩৫)-এর।
ঘটনার দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রুবি আকতারের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়।
পরে রাতে মঈনুদ্দিন রিকশা চালিয়ে বাড়িতে আসলে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।
পরদিন আজ শুক্রবার ভোরে রুবি আকতারের ঝুলন্ত দেহ বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে রুবি আকতারের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত রুবি আকতারের পিতা রাজা মিয়া জানান, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে কারণ তার মেয়ের মুখমণ্ডল ও গলার এক পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারধর করে মেরে বাথরুমে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাকির হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এসময় পরিবারের কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। পরে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে নিহতের শাশুড়ি মোহছেনা বেগমকে এনে তার সাথে কথা বলে জানতে পারি গতকাল বৃহস্পতিবার পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর আজ শুক্রবার ভোরে রুবি আকতার বাথরুমে যায় কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেন। এরপরও তার সাড়া না পেয়ে বাথরুমের পিছনে গিয়ে দেখা যায় সে বাথরুমে ঝুলছে। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা যেহেতু বিষয়টি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হিসেবে পেয়েছি সেহেতু এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি।” ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযেখানে ঝাড়ু মিছিল করেছিস সেখানেই তোর লাশ পড়ে থাকবে
পরবর্তী নিবন্ধআমার আব্বার ভাস্কর্য বসালেও আমি সর্বপ্রথম টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেব