চন্দনাইশে গরু চোর–দলের ছোড়া গুলিতে ৪ জন আহত হয়েছে। গরু চুরি করতে গিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় চোরদলের সদস্যদের ছোড়া গুলিতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহনগর সিকদারপাড়া এলাকায় মাইক্রোবাস নিয়ে ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ সশস্ত্র একদল গরু চোর প্রবেশ করে। এ সময় চোরের দল স্থানীয় জিয়াউদ্দিন আদিলের বাড়ির সিসি ক্যামেরার তার কেটে পার্শবর্তী জসিম চেয়ারম্যান বাড়ির রিয়াজ উদ্দিন কাঞ্চনের গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে গরু বের করে আনে। বিষয়টি ওই বাড়ির দারোয়ান বুঝতে পেরে বাড়ি থেকে বের হয় এবং কয়েকজন মুখোশধারীকে দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে এবং চোরের দলকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে চোর দলের সদস্যরা গরু নিতে না পারলেও পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি ছুড়তে থাকে। এতে সিকদারপাড়া এলাকার ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতরা হলেন মো. আরাফাত (২৭), রবিউল হাসান (২৫), সাদেকুল ইসলাম (১৯), মো. ইব্রাহিম (৫০)। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর হওয়ায় আরাফাত, রবিউল ও সাদেকুলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ইব্রাহিমকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
জোয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন খালেদ ভোররাত ৪টার সময় সংবাদটি মোবাইল ফোনে জানানোর পরপর তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি চন্দনাইশ থানায় অবহিত করেন। পরে থানা পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করেন।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, জোয়ারা ইউনিয়নের ফতেহনগর সিকদারপাড়া এলাকায় গরুচোরের ছোড়া ছররা গুলিতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে সংঘবদ্ধ চোরের দলকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।