প্রায় এক যুগ পর শুরু হতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি। সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও শুরু হবে এই কার্যক্রম। দেশের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠেয় এ আয়োজনে এবার ‘অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন’ স্লোগানে চট্টগ্রামের ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫০টি খানা বা প্রতিষ্ঠানে চালানো হবে অর্থনৈতিক সমীক্ষা।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম পরিচালক (অ. দা.) মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ১০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর (১৬ ও ২৫ ডিসেম্বর বাদ) পর্যন্ত ১৫ দিন এই শুমারি পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭১টি অর্থনৈতিক সম্পন্ন খানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মোবাইল ডাটা ম্যানেজমেন্টের (এমডিএম) মাধ্যমে কম্পিউটার অ্যাসিসট্যান্ট পারসোনাল ইন্টারভিউ (সিএপিআই) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত সব তথ্য ডাটা সার্ভারে সরাসরি জমা হবে। নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার বা এনওসির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা থেকে তথ্য সংগ্রহকারীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক শুমারির মূল লক্ষ্য হলো সময়ের বিবর্তনে একটি দেশের অর্থনীতিতে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা। অকৃষিমূলক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কাঠামো নির্ধারণ করা।
এদিকে সমীক্ষা সামনে নিয়ে গত ৫ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১৯টি কেন্দ্রে চলে ট্রেনিং প্রোগ্রাম। এ কাজের জন্য ৬ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ১১৯ জন জোনাল অফিসার, ৭৬০ জন সুপারভাইজার, ১১৯ জন আইটি সুপারভাইজার এবং ৩ হাজার ৯৬৩ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি খানা এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে দেশে প্রথমবার অর্থনৈতিক সমীক্ষা করা হয়। এরপর ২০০১ ও ২০০৩ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৩ সালে তৃতীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা করেছিল পরিসংখ্যান ব্যুরো। প্রায় এক যুগ পর চতুর্থ অর্থনৈতিক সমীক্ষা পরিচালিত হতে যাচ্ছে।