চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা পেয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ টাকা

উন্নয়ন সহায়তা খাতে বরাদ্দ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২২ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

পৌরসভার পর এবার চট্টগ্রামসহ দেশের উপজেলাগুলোর জন্য উন্নয়ন সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। দেশের ৪৯২টি উপজেলার জন্য চতুর্থ কিস্তি বাবদ গত সপ্তাহে ছাড়কৃত এ অর্থের পরিমাণ ১১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা পেয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ দুই হাজার টাকা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের (২০২১-২০২২) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপজেলাসমূহের উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ আছে ৬৫০ কোটি টাকা। বিভিন্ন কিস্তিতে টাকাগুলো ছাড় করা হয়। এর মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রথম কিস্তি, ২ নভেম্বর দ্বিতীয় কিস্তি এবং চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করা হয়। সর্বশেষ গত ১৭ এপ্রিল চতুর্থ কিস্তি ছাড় করা হয়। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে উন্নয়ন সহায়তা খাতের চতুর্থ কিস্তি বাবদ চট্টগ্রামের ১৫ পৌরসভা দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা ৭৯ হাজার টাকা পেয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার জন্য ২২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, আনোয়ারা উপজেলার জন্য ১৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, বাঁশখালী উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, বোয়ালখালী উপজেলার জন্য ১৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা, চন্দনাইশ উপজেলার জন্য ১৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, ফটিকছড়ি উপজেলার জন্য ২৮ লাখ ১২ হাজার টাকা, হাটহাজারী উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা, লোহাগাড়া উপজেলার জন্য ১৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, মীরসরাই উপজেলার জন্য ২৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, পটিয়া উপজেলার জন্য ২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, রাউজান উপজেলার জন্য ২১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, সন্দ্বীপ উপজেলার জন্য ২৯ লাখ ১২ হাজার টাকা, সাতকানিয়া উপজেলার জন্য ২২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ছাড় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক একই বিভাগের চিফ একাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারকে দেয়া অর্থ মঞ্জুরি প্রদান পত্রে বলেন, উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণে উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার যৌথভাবে মঞ্জুরিকৃত অর্থের আয়ন ও ব্যায়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

বরাদ্দের অধীন অনুমোদিত স্কিম এবং প্রচলিত আর্থিক রীতি-নীতি ব্যয় নির্বাহ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট বিল দাখিলপূর্বক সরকারি তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ আহরন করতে হবে। মঞ্জুরিকৃত অর্থের অব্যয়িত অংশ ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে এবং ব্যয় বিবরণী প্রদান করতে হবে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরে জাহাজ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধএসএসসির সূচি প্রকাশ ১৯ জুন পরীক্ষা শুরু