চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫ আসনের ৮৬টি ভোটকেন্দ্রের উপর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দাখিল করা আপত্তির ওপর শুনানি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ কাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একটানা চট্টগ্রামের ১৫ আসনের ৮৬টি ভোট কেন্দ্রের উপর জমা পড়া আপত্তির শুনানি করবেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটগ্রহণের ১৯৫৯টি এবং ১২৬৫৬টি ভোটকক্ষ (বুথ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি সংসদীয় আসনের ৮৬টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর–পতেঙ্গা) আসনের কোনো ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জমা পড়েনি। এছাড়াও চট্টগ্রাম–১৫ (লোহাগাড়া–সাতাকনিয়া আংশিক) আসনের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার ভোটকেন্দ্র নিয়ে কোনো আপত্তি জমা পড়েনি, তবে একই আসনভুক্ত সাতকানিয়া আংশিক অংশের ভোটকেন্দ্রের ওপর আপত্তি দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার খসড়া ভোটকেন্দ্রের ওপর আপত্তি শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আসন অনুযায়ী শুনানির সময়সূচি : চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, আগামীকাল সকাল ১০টায় শুনানি হবে চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম–১ (মীরসরাই) এবং চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড এবং সিটির ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড) আসনের ভোটকেন্দ্রর উপর জমা পড়া আপত্তি গুলোর উপর। সকাল ১১টায় শুনানি হবে চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক), চট্টগ্রাম–১৫ (লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া আংশিক) আসনের ভোটকেন্দ্রর উপর জমা পড়া আপত্তি গুলোর উপর। দুপুর ১২টায় শুনানি হবে চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী ও চসিকের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড), চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের ভোটকেন্দ্রর উপর জমা পড়া আপত্তি গুলোর উপর। দুপুর ১টায় শুনানি হবে চট্টগ্রাম–১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী), চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও), চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) আসনের ভোটকেন্দ্রর উপর জমা পড়া আপত্তি গুলোর উপর। দুপুর আড়াইটায় শুনানি হবে চট্টগ্রাম মহানগরীর দুই সংসদীয় আসনের পর উপর। চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালী), চট্টগ্রাম–১০ (ডবলমুরিং–হালিশহর–পাহাড়তলী–খুলশী) আসনের ভোটকেন্দ্রর উপর জমা পড়া আপত্তি গুলোর উপর। তবে চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর–পতেঙ্গা) আসনের কোনো ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জমা পড়েনি।
জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি আপত্তি জমা পড়েছে চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) আসনে ১৮টি। এরপর চট্টগ্রাম–১০ (ডবলমুরিং–হালিশহর–পাহাড়তলী–খুলশী) আসনের আপত্তি জমা পড়েছে ১০টি। চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনের আপত্তি জমা পড়েছে ১০টি। চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী ও চসিকের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড) এবং চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসনের আপত্তি জমা পড়েছে ১টি করে। আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২০ অক্টোবর চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।