দেশ স্বাধীনতা প্রাপ্তির আরো বারো বছর পূর্ব হতে প্রকাশিত হয়ে আসছে বীর চট্টলার ঐতিহ্যের বাহক ‘দৈনিক আজাদী‘ পত্রিকা। হাঁটি হাঁটি পা পা করতে করতে আজ চৌষট্টি বসন্ত অতিক্রম করে পঁয়ষট্টি চলছে যার। অথচ চেহারায় নেই বৃদ্ধকালের রেশমাত্র, বলতে গেলে পত্রিকাটি পুরোদস্তুর চিরযৌবন সমৃদ্ধ! দৈনিক আজাদী নামমাত্র আঞ্চলিক পত্রিকা বললেও চলে, এর চাহিদা সমগ্র দেশব্যাপী। পুরো চট্টগ্রামের আনাচে কানাছে কী হচ্ছে না হচ্ছে তা স্পষ্টত উঠে আসে দৈনিক আজাদীর পাতায় পাতায়। বীর চট্টলার বীরত্বের সংবাদ হোক কিংবা কোনো অসংগতির খবর তা চলে আসে সহজে আজাদীতে। চট্টগ্রামের কাগজের পত্রিকা পড়ে এমন পাঠককে প্রিয় পত্রিকার নাম বলতে বললে সহজেই বলে উঠবে আজাদীর নাম। আজাদীর জ্ঞানগর্ভ বিশালদেহী। সাহিত্যকর্ম, সমাজের ঘটে যাওয়া প্রতিটা ঘটনা, রাষ্ট্রের খবর ও বৈশ্বিক খবর দিয়েই ভরপুর হয় আজাদীর প্রতিটি সংখ্যা। যা পড়ে সহজেই জানা যায় ঘটনার সারতত্ত্ব। আজাদী চট্টগ্রামে সাহিত্যিক সৃষ্টিতেও মহাগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বহুকাল ধরে। দুঃখের সাথে বলতে হয় চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলো শিশুসাহিত্যের পাতা ছাপানো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে শুধুমাত্র যে কটি পত্রিকা এখনো অব্যাহত রেখেছে তাঁর মধ্যে একটি হলো আমাদের সকলের হৃদয়ের দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রামের স্বার্থের জন্য যুগ থেকে যুগান্তর দৈনিক আজাদী ছিল আপসহীন। যে আশা ও স্বপ্ন বুকে নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক আজাদী প্রকাশ করেছিল ঠিক তার দেখানো পথে হেঁটে যাচ্ছে বর্তমান সম্পাদক এম.এ মালেকর সুনেতৃত্বে শতাধিক কর্মীর কর্মদক্ষতায়। দৈনিক আজাদী শুধু পঁয়ষট্টি নয় তার গৌরব অক্ষুণ্ন রেখে শততম সহ হাজারতম জন্মবার্ষিকী পালন করুক। আজাদীর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী, লেখক, পাঠকসহ শুভানুধ্যায়ীকে পঁয়ষট্টি তম জন্মদিবসে জানাই হৃদয়ের গহীন হতে শুভেচ্ছা।










