চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যকে কেন জানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দেশের আর কোনো মহাসড়কে কিন্তু ওজন স্কেল নেই। ওজন স্কেল যেহেতু নেই, তাই অন্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অনায়াসে প্রতি ট্রাকে ২০ টন পর্যন্ত পণ্য আনা নেয়া করতে পারছেন। অথচ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। এতে ব্যবসায়ীদের পরিবহন খরচ বাড়ার পাশাপাশি অসম প্রতিযোগিতারও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বর্তমানে মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণের খড়গের কারণে ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসা বাণিজ্য অন্য জায়গায় স্থানান্তর হয়ে যাচ্ছে। এক সময় চাক্তাই খাতুনগঞ্জ থেকে সারা দেশে ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করা হতো। এখন মহাসড়কে শুধুমাত্র ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে বাল্ক কেরিয়ারে আসা বেশিরভাগ পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে চলে যাচ্ছে। আমরা শুরু থেকে ওজন স্কেলের বিরোধিতা করে আসছি। বিষয়টি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছিলাম। এছাড়া সভা সেমিনারেও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। আমাদের কথা হচ্ছে, ওজন স্কেল স্থাপন করতে হলে দেশের সবগুলো মহাসড়কে স্থাপন করতে হবে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা এই বৈষম্যের অবসান চান।