ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের ফলে চট্টগ্রামের ১০টি উপজেলার ৯৪ টি ইউনিয়ন বন্যার কবলে পড়েছে। ফটিকছড়ি, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, কর্ণফুলী, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলার উক্ত ৯৪ টি ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪৫ হাজার ৯৪৬ টি পরিবার। সবমিলিয়ে লোকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখের বেশি (২ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ জন)। তবে নিহত হয়নি কেউ। গতকাল রাতে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ মজুমদার আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর জন্য ৮০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্য থেকে ২০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মীরসরাই উপজেলায় ৩০টি এবং ফটিকছড়ি উপজেলায় ৫টি উদ্ধারকারী নৌযান উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। মো. সাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও মীরসরাইয়ে যথাক্রমে ৫টি ও ২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ হাজার ১৩৪ জন পুরুষ, ২ হাজার ৪৩৪ জন মহিলা, ১ হাজার ১১৩ জন শিশু ও ৩০ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া ১৪২ টি গরু/মহিষ, ১৬২ টি ছাগল/ভেড়া আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে অন্যান্য উপজেলাতেও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে। তবে জেলার সবগুলো উপজেলার জন্য ১৩০ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মো. সাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, এরমধ্যে ১২৫ টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। মহিলা ও শিশুদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। নগরীর বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাদীকে বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নগরীর পাহাড়গুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশংকা থাকায় এ মাইকিং করা হচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পাহাড়, পাহাড়ের পাদদেশে কারো অবস্থান করার কোনো সুযোগ নেই। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে অথবা নিরাপদে অন্যত্র সরে যেতে হবে। আমাদের টিম পুরো বিষয়টি দেখছে বলেও জানান তিনি।