বর্তমানে জিআই পণ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেক দেশ তাদের নিজস্ব ভৌগলিক ও জনপ্রিয় পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় এই পর্যন্ত ২৪টি জিআই পণ্য স্বীকৃতি দিয়েছে, যা সংখ্যার তুলনায় খুবই নগণ্য। রাজশাহী, সিলেট, রংপুরসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার বহু পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম বিভাগ সেক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। চট্টগ্রামের মেজবানের মাংস, কক্সবাজারের শুঁটকিসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বহু জিআই পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে বহুকাল আগে থেকেই। অথচ এসব পণ্যের জিআই স্বীকৃতি নিয়ে এখনো কেউ এগিয়ে আসেনি। চট্টগ্রাম বিভাগের সম্ভাব্য জিআই পণ্য সমূহ: ১. চট্টগ্রামের মেজবানের মাংস, ২. কক্সবাজারের শুঁটকি (১৭ রকমের), ৩. হাটহাজারীর মিষ্টি মরিচ, ৪. বান্দরবানের ছোট কলা, ৫. সাতকানিয়ার তালতলা মিষ্টি, ৬. মহেশখালীর মিষ্টি পান, ৭. চট্টগ্রামের বেলা বিস্কুট, ৮. চট্টগ্রামের কালা ভুনা, ৯. চট্টগ্রামের মধুভাত, ১০. চট্টগ্রামের বাকরখানি ও ১১. টেকনাফের ফুল সুপারি। চট্টগ্রাম বিভাগের সম্মানিত সকল জেলা প্রশাসক ও কৃষি অধিদপ্তরের পরিচালক কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত আবেদন জানাচ্ছি, যেন এইসব পণ্যকে দ্রুত জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
মোহতাসিম ইসমাম
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।