দৈনিক আজাদী শুধু চট্টগ্রামের নয়, বাংলাদেশের সংবাদপত্র ইতিহাসেরও এক অনন্য নাম। ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে পত্রিকাটির ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে। যুদ্ধকালীন সেই ভয়াল দিনগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও আজাদী বন্ধ করেনি তার পথচলা। এ কারণেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর, ১৭ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ শিরোনামে স্বাধীনতার গর্বিত সংবাদ প্রকাশ করে ইতিহাস গড়েছিল একমাত্র আজাদীই। এই পত্রিকাটি কখনোই কেবল খবর ছাপানোর যন্ত্রে রূপ নেয়নি। এটি বরং হয়ে উঠেছে সমাজের দর্পণ, মানুষের কণ্ঠস্বর, নীতিনিষ্ঠতার বাতিঘর।
শিশু বয়সে যে যাত্রা শুরু করেছিল, কৈশোর পেরিয়ে আজ পরিণত যৌবনে পৌঁছেও তার আদর্শচ্যুতি ঘটেনি। বরং দিনে দিনে আরও পরিপক্ব, আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছে। আজাদীর প্রতিটি সংখ্যায় ফুটে ওঠে সততা, সাহস, ও কল্যাণের অঙ্গীকার।
আজাদীর এই গৌরবময় যাত্রার পেছনে যিনি প্রথম বীজ বপন করেছিলেন তিনি হলেন পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আবদুল খালেক। তাঁর দূরদর্শী চিন্তা, সাহসিকতা ও আদর্শের ভিত্তিতেই আজাদী আজ এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। তাঁর দেখানো পথে চলেই বর্তমান সম্পাদক এম এ মালেক স্যার ও তাঁর সহকর্মীরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছেন। আজাদী কেবল অতীতের গর্ব নয়, বর্তমানের আলো এবং ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা। নতুন প্রজন্মকে তথ্যনিষ্ঠ, মানবিক ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার এক নির্ভরযোগ্য পাঠশালা হয়ে উঠেছে এই পত্রিকাটি। দৈনিক আজাদীর প্রতিটি সংখ্যা যেন একেকটি দলিল, একেকটি ইতিহাস।











