চট্টগ্রামের ইতিহাসচর্চায় প্রফেসর ড. সুনীতিভূষণ কানুনগো ছিলেন এক নীরব সাধক। যিনি আবেগ নয়, বরং কঠোর গবেষণা ও প্রামাণ্য দলিলের আলোকে ইতিহাসকে উপস্থাপন করে আগামী প্রজন্মকে ঋণী করে গেছেন। ইতিহাসকে বুঝতে হলে তাকে পড়তে হবে। এমন মন্তব্যই উঠে এসেছে তার স্মরণসভায়।
গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত প্রফেসর ড. সুনীতিভূষণ কানুনগোর স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাসেম বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে বহু প্রাচীন হস্তলিপি ও পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত থাকলেও শিক্ষার্থীরা সেগুলো পাঠের সুযোগ পাচ্ছে না। এসব পাণ্ডুলিপি স্ক্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে চট্টগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে বহু নতুন তথ্য মানুষের সামনে উন্মোচিত হতে পারে। অন্যথায় অযত্নে এসব মূল্যবান পাণ্ডুলিপি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, সুনীতিভূষণ কানুনগোর হিস্ট্রি অব চিটাগাং গ্রন্থটি ইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ইতিহাস গবেষক মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। বক্তারা আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিষয়ে পাঠ ও গবেষণার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা চট্টলতত্ত্ব বিভাগ থাকা জরুরি। বাংলা সাহিত্যে চট্টগ্রামের অবদান বাংলাদেশের অন্য যেকোনো জেলার তুলনায় বেশি। বাংলা একাডেমির চরিতাভিধানে অন্তর্ভুক্ত ৩৩ জন সাহিত্যিকের মধ্যে ১৫ জনই চট্টগ্রামের। একসময় চট্টগ্রাম ছিল বাংলা সাহিত্যের রাজধানী। অর্পিতা ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুস্তফা শামীম আল জুবাইর। সভাপতিত্ব করেন সুদর্শন চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা, ড. রাতুল কুমার শীল, কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












